কয়দিন যাবত ট্রাইবুনাললিক্স প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। হাটে মাঠে ঘাটে এ নিয়ে কথা চলছেই। ফাঁস হয়ে যাওয়া কথোপকথনের রেকর্ড থেকে আমরা কিছু নাম জানতে পেরেছি। মোহসেনা, প্রবীর, ভিসি আনোয়ারের ছেলে, সিমন, জিয়াউদ্দিন প্রমুখ।
এদের একজন হলেন রায়হান রশীদ। রায়হান রশীদ একজন দেশপ্রেমিক, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নিবেদিত এবং বামপন্ন্থী আদর্শের সৈনিক।
মেধা ও যোগ্যতার কারণে অল্প বয়সেই তিনি আজ এতোদূরে পৌছেছেন। তার সবচেয়ে বড় যোগ্যতা হলো তিনি সম্পূর্ণ আত্মপ্রচারবিমুখ। নিঝুম পিয়াল সুশান্তের মতো তিনি ফাতরা টাইপের অশিক্ষিত যৌনপরায়ণ ছোটলোক নন, বরং জ্ঞান ও প্রজ্ঞা তাকে বিনীত ও স্থিরচিত্ত করেছে। তার এই গুণের কারণে বিদেশী সংস্থাগুলো তাকে যোগোযোগের জন্য বাছাই করে নিয়েছে। পর্দার আড়াল থেকে বাংলাদেশের মন্ত্রী, আমলা ও বিচারক পর্যায়ের লোকদেরকে পর্যন্ত তিনি পরিচালনা করে যাচ্ছেন সুদূর ইংল্যান্ড থেকে।
চট্টগ্রামের সেন্ট প্লাসিডস স্কুলে পড়ার সময় শৈশবেই এই মেধাবী মানুষটি খেলাঘরের আসরের মাধ্যমে কমিউনিজমের সাথে যুক্ত হন। পরবর্তীতে ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজে পড়ার সময় এ বিশ্বাস তার দৃঢ় হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এলএলবি ও এলএলএম পড়ার সময় তিনি ছাত্র ইউনিয়নের একনিষ্ঠ যোদ্ধা ও কর্মী ছিলেন। এরপর তিনি ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অভ নটিংহাম থেকে আরেকটি মাষ্টার্স করেন। বর্তমানে তিনি বাকিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পার্টটাইম পড়াচ্ছেন ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সেন্টারে বাংলাদেশের তেল গ্যাস খনিজ অনুসন্ধানের নীতিমালার উপর পিএইচডি গবেষণা করছেন।
চট্টগ্রামে জন্ম নেয়া অত্যন্ত মেধাবী এই বাংলামায়ের সন্তানটি সারা পৃথিবীর সমমনা বামপন্থী ও আওয়ামী পন্থীদের কে একত্রিত করেছেন, সবার কাছ থেকে কাজ আদায় করে নিচ্ছেন ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে প্রায় সমস্ত বুদ্ধিবৃত্তিক সাহায্য দিচ্ছেন পেছন থেকে, এবং বিদেশী অর্থসাহায্য গুলোর সমন্বয় সাধন করছেন। সবমিলে তিনি জামাত নেতাদের ফাসীর দড়িতে ঝুলানোর নিপূণ পরিকল্পনাটি করেছেন এবং অত্যন্ত জটিল এই অর্কেষ্ট্রায় মাষ্টারের ভুমিকা পালন করে যাচ্ছেন।
এই সমস্ত গুরুদায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি যে সকল ওয়েবসাইট ও সংগঠন তিনি সক্রিয়ভাবে পরিচালনা করছেন তার তালিকা দেখলেও চমকে উঠতে হয়। ইবাংলাদেশ ডটকম, আমারব্লগ, সচলায়তন, ক্যাডেট কলেজ ব্লগ, সেন্টার ফর জেনোসাইড ষ্টাডিজ, মুক্তমনা, বাংলাদেশ জেনোসাইড আর্কাইভ, নিউজ বাংলা এবং লন্ডন লয়ার্স ফোরাম এইসব উদ্যোগ তারই ব্রেইনচাইল্ড ও তার সরাসরি কনসালটেন্সিতে একদল ত্যাগী কর্মী বাহিনী দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।
রায়হান রশীদ দুর্লভ সেই বাংলাদেশীদের একজন, যিনি সবসময় কাজ করেন কিন্তু নিজেকে আড়ালে রাখেন। আমরা তাঁর দীর্ঘজীবন ও সফলতা কামনা করছি। ব্যাক্তিগতভাবে আমি তাঁর ভক্ত হয়ে পড়েছি। সরকারপ্রধানকে কনভিন্স করা, গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীদেরকে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসা, বিদেশী সংস্থাগুলোকে সমন্বয় করা এতোসব করে এই একটি মানুষ বাংলাদেশের ভুদাই সংগঠন জামাতকে নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে।
রাজনীতি করে সত্তর আশি নব্বই হয়েছে যে লোকগুলোর বয়স, তাদেরকে বেকুব বানিয়ে চৌদ্দশিকের ভেতর ঢুকিয়ে দিয়েসে এবং ফাসীর দড়ির একদম কাছাকাছি পৌছে দিয়েসে, এই এক জীবনে এরচেয়ে বড় কৃতিত্ব আর কি প্রয়োজন!
তথ্য ও ছবি কৃতজ্ঞতা: বিসিআই সোর্স
No comments:
Post a Comment